দখিনের খবর ডেস্ক ॥ চলমান পৌরসভা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের নির্বাচন আগামীকাল রোববার অনুষ্ঠিত হবে। এদিন মোট ৫৬টি পৌরসভাই এ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও মাদারীপুরের কালকিনিতে স্থগিতাদেশ আসায় ভোট হচ্ছে ৫৫টিতে। এই নির্বাচন উপলক্ষে ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ মোরশেদ আলম স্বাক্ষরিত আদেশে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। গতকাল শুক্রবার ইসির ওয়েবসাইটে এই নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়েছে। আদেশে বলা হয়, ২৫টি পৌরসভায় ১৪ ফেব্রুয়ারি ব্যালট পেপারের মাধ্যমে চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার স্বার্থে ভোটগ্রহণের দিন সকালে ব্যালট পেপার পৌঁছানোর বিষয়ে নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা দিয়েছে। এ বিষয়ে ইসি’র যুগ্মসচিব এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, চতুর্থ ধাপে মোট ৫৬ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হবে (পরে একটি পৌরসভায় ভোট স্থগিত হয়)। এর মধ্যে ২৫টি পৌরসভায় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে আর বাকিগুলো ইভিএমে হবে। ইভিএম ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) কর্মকর্তারা সরেজমিন উপস্থিত থেকে ভোটগ্রহণের প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেবে। এাছাড়া ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ইভিএম কাস্টমাইজেশনসহ নির্বাচন উপযোগী করে রিটার্নিং অফিসারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। যুগ্ম সচিব বলেন, চতুর্থ ধাপের পৌর নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অথবা জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অথবা বিশেষে অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। তবে কয়েকটি পৌরসভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। এই কর্মকর্তা আরও বলেন, গত ৩ জানুয়ারি চতুর্থ ধাপে ৫৬টি পৌরসভার নির্বাচনের তফসিল দেয় ইসি। পরে এ ধাপে আরও দুটি পৌরসভা যুক্ত করায় মোট ৫৮টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ করা হবে। যে ২৫ পৌরসভায় ব্যালটে ভোট: ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকাইল, রাজশাহীর নওহাটা, তানোর ও তাহেরপুর, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, নরসিংদী পৌরসভা, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভা, বরিশালের বানারীপাড়া, শেরপুরের শ্রীবরদী, নাটোরের বড়াইগ্রাম ও নাটোর, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও চন্দাইশ, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর ও করিমগঞ্জ, টাঙ্গাইলের কালিহাতী, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, যশোরের বাঘারপাড়া, শরীয়তপুরের ডাম্যুডা, জামালপুরের মেলান্দহ, জয়পুরহাটের কালাই, ফরিদপুরের নগরকান্দা ও সিলেটের কানাইঘাট। যে ৩০ পৌরসভায় ইভিএমে ভোট: ঠাকুরগাঁও, রাজশাহীর গোদাগাড়ী, লালমনিরহাট, নরসিংদীর মাধবদী, রাজবাড়ী, বরিশালের মুলাদী, শেরপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, বাগেরহাট, বান্দরবান, সাতক্ষীরা, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট, কুমিল্লার হোমনা এবং দাউদকান্দি, চট্টগ্রামের পটিয়া, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, টাঙ্গাইলের গোপালপুর, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা, ফেনীর পরশুরাম, চাঁদপুরের কচুয়া, নেত্রকোনা, যশোরের চৌগাছা, রাঙ্গামাটি, মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম, ময়মনসিংহের ফুলপুর, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর, নোয়াখালীর চাটখিল এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ও লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি। উল্লেখ্য, দেশে পৌরসভা রয়েছে ৩২৯টি। প্রথম ধাপের তফসিলের ২৪টি পৌরসভায় ইভিএমে ভোট হয় ২৮ ডিসেম্বর। ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের ৬১ পৌরসভায় ভোট হয়েছে। আর তৃতীয় ধাপে ৬৪টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হয় ৩০ জানুয়ারি। চতুর্থ ধাপে ১৪ ফেব্রুয়ারি এবং পঞ্চম ধাপে ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে।
Leave a Reply